পটুয়াখালী জেলা কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কমিটি বানিজ্য, সেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম সহ অসাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছন পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক সহ বিভিন্ন উপজেলা কৃষকলীগের নেতারা।
শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়, ‘সর্দার সোহরাব হোসেন পটুয়াখালী জেলা কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই বিভিন্ন উপজেলা কৃষকলীগ থেকে শুরু করে ইউনিয়ন কৃষকলীগের কমিটিও সে নিজে গঠন করে লাখ লাখ টাকা নেতা কর্মীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অডিও ভিডিও ক্লিপ তাদের কাছে রয়েছে।
পাশা পাশি তিনি কোন ধরনের নিয়মনীতি না মেনে তার চাহিদা মত অর্থ না দিলে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি ভেঙ্গে দিচ্ছে।
সম্প্রতি তার (শহিদুল ইসলাম) কাছে সর্দার সোহরাব হোসেন দুই লক্ষ টাকা দাবী করেন, কিন্তু শহিদুল ইসলাম টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে পটুয়াখালী পৌর কৃষক লীগের আহবায়ক পদ থেকে তাকে অগঠনতান্ত্রিক ভাবে বাদ দিয়ে তার কমিটির সদস্য সচিবকে আহবায়ক করা হয় এবং বিএনপি জামায়াত পরিবারের এক জন সদস্য যিনি কৃষকলীগের কোন পদ পদবী কিংবা সদস্যও নয় এমন এক জনকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয় বলেও অভিযোগ করেই এই কৃষকলীগ নেতা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পটুয়াখালী গলচিপা উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক আহবায়ক মোকেছেদ হওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ কৃষকলীগের পটুয়াখালী জেলা এখন টাকার বিনিয়মনে কমিটি বিক্রি করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের এই কথাটুক জানানোর ব্যবস্থা করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দুমকি উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক রাজন বলেন, ‘সর্দার সোহরাব হোসেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়ে সংগঠন বিরোধী কাজ করছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কোন কমিটি ভাঙ্গার এখতিয়ার না থাকলেও সর্দার সোহরাব হোসেন একের পর এক কমিটি ভেঙ্গে টাকার বিনিময় বিএনপি জামায়াতের লোক জনকে কৃষকলীগে অনুপ্রবেশ করাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দুমকি উপজেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি এম এ মান্নান খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত যারা কৃষকলীগ করছে, বিএনপি জামায়াত সরকারের সময় যারা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে সব নেতাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, যেটা দুঃখ জনক।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সর্দার সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ ৯০ দিনের মধ্যে ওয়ার্ড কৃষকলীগের কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে, এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়ার বিষয়েও তিনি অস্বীকার করেন।
এদিকে উক্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কর্মীর কাছে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন ব্যক্তির দায় দল কখনো নিবেনা আমরা আশা করছি কেন্দ্রীয় কমিটি উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন, শুধু তাই নয় জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী বলেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখানে অগণিত নেতাকর্মী রয়েছেন যাদের অনেক যোগ্যতা রয়েছে অতএব কেউ কোন অপরাধ করলে তাকে দল কখনই পুনরায় অপরাধ করার সুযোগ দেবে না বলেও জানান জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা।